ধর্মীয় গোঁড়ামি আর পৈশাচিক উন্মত্ততায় লালায়িত মৌলবাদ নিপাত যাক। বিশ্বমানবতা মুক্তি পাক।


যাদের নার্ভ খুব দুর্বল তারা এই খবর থেকে দূরে থাকবেন। শুরুতেই ঘটনার বিবরণ দিচ্ছি এটি এটি টেলিভিশন সংবাদের ভিডিও ধারাবিবরণী।

মেঝেতে অসহায় পড়ে মূমূর্ষ অবস্থায় কাতরাচ্ছেন একজন নারী। যার উপরে পৈশাচিক বর্বরতায় হামলে পড়েছে কিছু নরপশু। পরণের বস্ত্র ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে অনেক আগেই। একজন  একটা লাঠি দিয়ে বেদম পেটাতে থাকে। পাশে নাক দিয়ে রক্ত ঝরা অবস্থায় অসহায় কাতরাচ্ছে মহিলাটির অসহায় স্বামী। সেও জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

পাষণ্ডগুলোর পৈশাচিক উন্মাদনা কিছুটা কমে আসে লোকটি আস্তে উঠে মহিলাকে উদ্ধারের  চেষ্টা করে। ফের আরেক দফা লাথি ঘুষির বৃষ্টি বর্ষিত হয় তার উপর। জুথুথুবু অবস্থায় মুখ থুবড়ে পড়ে আবার। এবারেও আরেকদফা লাথি খেতে হয় মহিলাকে।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আসামে। আর এই ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন যিনি তিনি আর কেউ নন একজন কংগ্রেস এম. এল এ। রুমি নাথ নামের এই কংগ্রেস এম. এল জীবনে এই দুর্বিসহ বর্বরতা নেমে আসে গতকাল শুক্রবার রাতে। তিনি তার মুসলিম বন্ধু জাকি জাকিরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হিন্দু থেকে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন। বাবা আর যাবে কোথায়। ঐ রকম একটি প্রগতিশীল দেশ ভারত। তারা কি এমন পিছিয়ে পড়া ন্যক্কারজনক কর্ম সইতে পারেন। তাই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ল্যাঠ্যামৃত প্রয়োগে সরাসরি আধুনিকতার ভূত ছাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

পৌরাণিক ধর্মের অনুসারী হয়ে আধুনিক আচরণ। বাব্বা তোর সাহস কতো  বড় রে রুমি !!!!!   এবার যাবি কই বেকন দেকার্তের মুখে ফোটা আধুনিকতার খই নিমেষে চুপসে গেছে বেদম ধোলাইয়ের কাছে। অন্যদিকে প্রগতিশীল হিন্দুরাও নিজ ধর্মপ্রীতিতে মোহাচ্ছন্ন হয়ে মৃদু পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন তাদের। ঠিক করেছেন। তমসাচ্ছন্নতা আর আধুনিকতার কলঙ্ক মুক্ত হলো ভারতমাত। বলিহারি যাই ঢং দেখে।

তাইতো মারাত্বক অসুস্থ অবস্থায় তাকে গোহাটী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশী সূত্র থেকে জানা যায় তিনি অন্তসত্তা ছিলেন। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যাওয়া এই সদস্য একজন ভিন্নধর্মীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কি এমন অপরাধ করেছেন যার শাস্তি এতো ভয়াবহ হলো??
এই প্রশ্ন রাখছি বিশ্ববিবেকের কাছে 😥  ????

ধর্মের নামে এই পাশবিকতা আধুনিক যুগের মানুষ কিভাবে সহ্য করতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়। এই যদি কোনো ধর্মের নমুনা হয় তাহলে ভেঙে ফেল এই অন্ধবিশ্বাস। এই যদি কোনো সামাজিক আচরণ হয়ে থাকে তবে মুখে লাথি মারো এই সমাজ নামের অচলায়তনের। এই ঘটনায় শুধু লাঞ্ছিত হয়নি একজন নারী আমি মনে করি এর মাধ্যমে ধর্ষিত হয়েছে বিশ্ববিবেক। বিশ্বে যারা মানবতার ধ্বজাধারীর আসনে ঘোড়ার জিনের মতো চেপে আছেন তাদের দায়িত্ব এই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সোচ্চার হওয়া।

আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না নির্যাতিত এই রুমি নাথ একজন নির্যাতিত নারী নয় সামাজিক স্বেচ্ছাচার আর ধর্মান্ধতার বলি হওয়া বিশ্ববিবেক।  ভারতীয়দের বর্বরতার খবর নিয়ে পর পর দুটি লেখা প্রকাশ করায় আমার ব্যক্তিগত সাইটকে অনেকে ভূল করে গোহাটি নিউজ ভেবে বসতে পারেন। তাই প্রথমেই তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমাদের দেশের তথাকথিত পদলেহী নারীবাদীরা যেখানে নিশ্চুপ থেকে তাদের অন্ন জোগারের ধান্দায় মশগুল তখন একজন সচেতন নাগরিক আর আর প্রতিবাদী নতুন প্রজন্মের একজন হিসেবে অবস্থান সুস্পষ্ট না করে পারছি না।

রুমি নাথের নির্যাতনে নির্বাক তাড়না শুধু একটি কথাই বার বার স্মরণ করিয়ে বিবেককে ক্রমাগত দংশন করে যাচ্ছে ………………………………

হায় এ কোন ধরণের বর্বরতা।

এ কোন দুর্বিসহ মৌলবাদ, এ  কি অমানবিক সন্ত্রাস ???

আধুনিক যুগে এই মধ্যযুগের ক্যথলিক বর্বরতা কতদিন চলবে ??

ধর্মীয় মৌলবাদ রোধের নীতি কি বইয়ের মলাট আর সেমিনারের মাইকের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে। বাস্তবে এর প্রয়োগ দেখে কি মরার সুযোগ হবে না ??

একজন এম এল এর যে দেশে  ব্যক্তিস্বাধীনতা দেখানোর সুযোগ নেই সেখানে সাধারণ মানুষ কেমন আছে??

সুযোগ হয়েছিল মধ্যযুগের বর্বর ইউরোপ সম্পর্কে জানার। যে গা শিউরে ওঠা বর্বর অধ্যায়কে পার করে ইউরোপীয়রা দাবি করে তারা আধুনিক যুগে প্রবেশ করে সেখানে জেনেছি ইনকুইজিশনের কথা। ক্যাথলিক মৌলবাদের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা প্রতিবাদী ধর্ম ও নাস্তিকতাকে দমন করার জন্য কাউন্সিল অব ব্লাডের কথা। আজ আধুনিক যুগে এসে আমরা এমন কথা শুনলে ছি ছি করি ধিক্কার দেই ঠিকই। কিন্তু এই সময়ে আধুনিকতার মুখোশের নিচে যখন পৈশাশিক মধ্যযুগের ভূত এসে ভর করে তখন তা তাড়ানোর ওঝার আর সন্ধান মেলে না।

ধিক প্রগতিশীলতার নামে এই দ্বিমুখীতা।

ধিক মানবতাবাদের নামে প্রচলিত স্বেচ্ছাচারকে।

গোঁড়ামি আর উন্মত্ত মৌলবাদ নিপাত যাক। বিশ্বমানবতা মুক্তি পাক।

ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ইউটিউব ভিডিওর লিংক আর সেইসাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবরের লিংক শেয়ার করছি এই পোস্টে।

ইউ টিউব ভিডিও এক

ইউ টিউব ভিডিও দুই

কিছু নিউজ লিংক….

Assam: Congress MLA Rumi Nath thrashed by mob for alleged bigamy : Northeast, News – India Today

ফেসবুকে নিউজ লিংক শেয়ার করায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা

এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান

রিফাত হাসান

23 thoughts on “ধর্মীয় গোঁড়ামি আর পৈশাচিক উন্মত্ততায় লালায়িত মৌলবাদ নিপাত যাক। বিশ্বমানবতা মুক্তি পাক।”

  1. oi lok muslim kivabay holo????
    jakhana ALLAH bolsa j nejer Dhormoer vetoray beya cortay…
    lojja thaka uchit….

    1. আমি ধর্মের কথা বলতে চাইনি। আমি তুলে ধরতে চেয়েছে ভারতীয় বর্বরতার কথা। ঐ মহিলা যদি হিন্দুও হতো আর তার উপর পাশবিক অত্যাচার হতো তার প্রতিবাদ একইভাবে কর্তাম। সো বুঝতেই পারছেন।

  2. Eara babori mosjid vange kicu hoyna are Eaito akta samanno nari matro !dikkar janai Eaisob lokder jara bissoyener juge akhono andho.

    1. এভাবে চলতে থাকলে আর কতদিন। মানুষ এভাবে কাপতে কাপতে একসময় মুক্তির আশা ছেড়ে দেবে। তাই উচিত তীব্র প্রতিবাদ হওয়ার। সময় প্রতিবাদের কারণ প্রতিবাদই প্রথম প্রতিরোধ।

  3. ধর্মীয় গোঁড়ামি আর পৈশাচিক উন্মত্ততায় লালায়িত মৌলবাদ নিপাত যাক। বিশ্বমানবতা মুক্তি পাক।

    1. এই শ্লোগান বিশ্ব দরবারে পৌছে যাক। বিশেষ করে ভারতীয় মৌলবাদ টপিকটির সংজ্ঞাই পাল্টে দিয়েছে।

  4. কেন বিশ্ববিবেকের কাছে প্রশ্ন। বিশ্ববিবেবকতো বহুদিন আগে ধর্মান্ধতার কুরুপটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ধর্মকে লালন করো, বিষধর সাপ পালো। ভারত কিভাবে প্রগতিশীল রাষ্ট্র হয়… সামাজিক বিভেদের নির্লজ্জ চিহ্ন যে দেশের কপালে তারা প্রগতিশীল হতে পারে না । তবে অন্য অনেক দেশের সাথে পার্থক্য ভারতের তা হলো তারা সামনে এগুবার কথা ভাবছে। তবে দক্ষিন এশিয়া পৃথিবী সবচে ভন্ড নরককুন্ড। পৃথিবী নষ্ট ভবিষ্যত দক্ষিন এশিয়ার জরায়ুতে অপেক্ষা করছে… এসব প্রসব বেদনার চিহ্ন।

    1. আসলে কি ভাই ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে যাওয়া নাস্তিকতা নয়। সেই সাথে ইসলাম বিদ্রোহী কথা বলেই সুন্দরভাবে প্রগতিশীল হওয়া যায় বিষয়টিও ঠিক না। আপনার অনেক সুন্দর বিশ্লেষণ সত্যি চমক লাগার মতো। আপনার কথার প্রতি আস্থা রেখেই বলছি ভাই যদি সময় এডওয়ার্ড সাইদের ওরিয়েন্টালিজম টা একটু পইড়েন। ইংরেজি টা পড়তে পারলে ভালো। না হলে বাংলাটা পইড়েন। আপনার কাছে মৌলবাদের সংজ্ঞাটাই পাল্টে যেতে বাধ্য।

  5. why everybody is trying to bring fundamentalism here????? the whole matter seems like political as the victim saying!!!!!!!! why we are trying to bring something what the victim is not saying??????

    1. Just try to think own self as you mentioned by the by. We won’t evoked this purpose as nobody could undone. This may be seems as usual a political condition. We have no way but to mark India a birth place of fundamentalism. If you think thyself have to change in order the definition of fundamentalism. When fundamental becomes the basement of Politics you can easily mention the politics as fundamental task.
      Thanks for your comment.
      Most welcome in discussion as well.

  6. I think we should see at ourselves first, then we have to go out to see what is others doing. In Bagladesh, each any woman is facing eve teasing every day, even if she is standing on the road infront of her own sweet house. Then why we are so bother to hurl such words for some one of a different country. Just because she is from a neigbouring country where girls can walk without eve teasing at least at the main cities, can use the pubic transports without any sexual harrasment by the bus contactor, any male passenger? are we so excited because we cant be advance in the means of economy, political ground and other issues for our own lacks of the nation-corruption, unsystemic law and order system and lots more that think should not require any comment. Before discussing about any practise of other part of the world, we must look into the mirror to see our own image. Time is precious. So, y not using it to developing ourselves rather than doing critics works about others?

    1. Hey dear sister!!
      At first think about yourself as you are in Bangladesh. No way you get advantage each and every where not alike outside Bangladesh. Form the very beginning of life in after hospital as to go no more as usual you people get the maximum benefit. We don’t know what did you want from our country. But it’s India have no chance for a girl to get outside freely. They aren’t in any better situation than Afghanistan. If you try to judge whole people with the eye of a movie scene this is not correct . But we can.
      About Eve teasing. Nothing to say just visit India. Then you can say something. I know a number of example regarding this. But not suitable for publishing publicly.
      Thanks for participating in this discussion.

  7. ধর্মান্ধতা কোন সমাজকে কখনো ভালো কিছু দিতে পারেনি। কিন্তু ধর্মভিরুতা সমাজকে শুদ্ধ করে বলেই বিশ্বাস করি।এগুলো ধর্মান্ধতা ছাড়া কিছু নয়। ধিক্কার জানায় ঐ সকল ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের।

    1. বিষয়টি বুঝতে গেলে সবার আগে ধর্মীং ও রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতার অর্থনৈতিক উৎস সম্পর্কে বুঝতে হবে।

  8. Dear Mr. Writer,
    First i thought that you have a narrow point of view. But now i understand that you are a blind. You are saying that we girls are having advantage in each point of life!!!!! what a shame that a poeple like you got the chance to be educated and able to read and write! i just pitty on them who just lost a chance to have a seat in an university or college just because you get a seat there. I feel pitty for you as you are a blind. What else we can do for bliends? Anyways, it is worthy to mention that I am very confident that I have visited India many more times then you. And yes, the city places are much more secured, safe and comfortable for girls to move on the street.

    at last, again i feel pity for u blind. best of luck and get a cure

    1. Just look through a mirror and observe yourself. Then try to talk too much. I have a point of view and can write something. But you people have nothing but hypocrisy and the ability of construction of some delicious myth.

      1. for your kind information you have the wrong idea that you can write. You cant write well, atleast not construstive writing. What you can write is presenting a news in a manner that can give a negative idea for a country and their country people. It can be called a writing specially in a eminent blog when you can write about the discrimency and daily phonemenon that we the general people are facing every day. Yes, of course there are lots of those kind of things in our country. But you are not doing so, rather scraching others back about something that happens in INDIA!!! Is india your mother land? No. But your mother land is suffering from lots of problems? why you are not writing about those where you wrote 2 long blogs about the same issue? I not only look into the mirror but also look around and can see those. again I am feeling bad for those who lose a chance of be highly educated just because someone who can read the black inked words of book but cant understand the real meaning of those.
        Hypocracy is a good word compared to what you have in your head. Its bull shit at best.

        Take care you blind

  9. NeWz:

    20-25 hindu girls are forcefully converted to islam in pakistan by jihadi mullahs,by kidnapping,raping and brainwashing,100’s of hindu and christian girls are lured by jihadi romeos in kerala and karnatka and converted to islam by the direction of thier jihadi mullaha and after few years murdered when she bears 4-5 childrens ,this is called love jihad,then why nobody talks about human rights,why when a women has left her two year old child to run away with a jihadi romeo.

    What ever that’s happen because of just one thing i realize its so called ” বেহেশত ”

    অন্য religion e ki amonta ase ????? Religion anek sensetive bapar U r in India and hindu u will not face it but if u are in Bangladesh then u will face what is manobota ar kader sate manobota dekhano uchit ….jodi Rumi nath valobeshe তিনি তার মুসলিম বন্ধু জাকি জাকিরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ hoyesen manlam kintu dhormo poriborton ki khub darkar silo ….

    manbota tader ke dekhao je manobota bujhe ar jara kina nijer provur name manus hotta kore nah…

  10. ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলে কি শাস্তি জানা আছে?

    এক জাকির নায়েকই ভারতের মত দেশে হিন্দু ধর্মকে কটাক্ষ করে এবং ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলে সেটা চোখে পড়ে না।

    সে আরও দাবি জানায় ইসলামিক দেশে অন্য ধর্মের কেউ ধর্মপ্রচার করতে পারবে না। কোন বিস্ময় নেই কেন বাংলাদেশে প্রতিদিন হিন্দু মন্দিরে হামলা হচ্ছে।

    কেবল ভারত দেখেই সে বেঁচে আছে। পাকিস্তানে ব্লাস্ফেমি আইনের বিরোধিতাকারীদের কি পরিণতি হচ্ছে দেখেছেন?

    সম্প্রতি ভারতের কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক

    নেতা ও ধর্মীয় নেতাদের মন্তব্যঃ
    * “উত্তর প্রদেশে ৪২ শতাংশ মুসলমান (প্রকৃতপক্ষে ২১ শতাংশ) আর গুজরাটে ৪ শতাংশ। মোদী যদি উত্তর প্রদেশকে গুজরাট বানাতে চায় তবে তাকে কুচি কুচি করে কেটে ফেলব। আমি মুসলমান, মরতেও ভয় পায় না আবার কাউকে মারতেও ভয় পায় না।” – কংগ্রেস নেতা মোঃ ইমরান
    * “কার্গিলের যুদ্ধ একাই মুসলিমরায় জিতিয়েছে। আমরা মুসলমানরায় সেরা। ”
    – আজম খান
    * “আপনি নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আরো সোচ্চার হোন। রাহুল গান্ধী মতো মোদীকে অপমান করুন, না হলে পশ্চিমবাংলার কোনো মুসলমান আপনাকে সমর্থন দিবে না।” – মমতাকে একপ্রকার হুমকিই দেন কলকাতা বড় মসজিদের ইমাম।
    * “কংগ্রেস মুসলমানদের জন্য অনেক কিছু করেছে।এবার লোকসভা নির্বাচনে ভারতের সকল মুসলমানদের কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।”
    – দিল্লী শাহী মসজিদের ইমাম বুখারী মুসলমানদেরকে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার জন্য ফতেয়া জারি করেন।
    “পুলিশকে ১৫ মিনিটের জন্য তুলে নেয়া হোক আর এর মধ্যেই আমরা ২৫ কোটি মুসলিম (প্রকৃতপক্ষে ১৭ কোটি) ৮০ কোটি (প্রকৃতপক্ষে ১০৫ কোটি) হিন্দুকে হত্যা করব।” – আকবর উদ্দিন ওয়াইসি, রাজনৈতিক নেতা,ভারত।
    *****************
    উপরের চিত্র থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে, ভারত যে সম্প্রদায়ের জন্য আজ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র সেই সম্প্রদায়টি মোটেও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনায় বিশ্বাসী নয়। উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস নেতা ইমরানের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়, ভারতের কোনো রাজ্যে যদি সত্যিই মুসলমানরা ৪০ শতাংশের উপর পৌঁছে যায় তবে সেখানকার অবস্থা কাশ্মীরের মতোই হবে এবং পুরো ভারতবর্ষে যদি মুসলমানেরা ৩০ শতাংশে পৌঁছে যায় তবে ভারত আরো একবার দিখন্ডিত হতে বাধ্য হবে। ভারতের এই করুণ পরিণতির জন্য দায়ী থাকবে কেবল সহিষ্ণু হিন্দুরা।
    এরপর, আজম খানের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে ভারতের মুসলমানের নিজেদেরকে ভারতীয় না মেনে একজন মুসলমান বলেই মনে করে যেখানে ভারতের প্রতিটি হিন্দু সবার আগে নিজেদেরকে ভারতবাসী বলে পরিচয় দেয়।

    পৌরাণিক ধর্মের বর্বরতা চোখে পড়ে অথচ ইসলামের বর্বরতা চোখে পড়ে না।

    এই খবরটা পড়েছেন কিছুদিন আগের?

    বিয়ের পর রুমির উপর শুরু হয় জাকিরের অকথ্য নির্যাতন, মারধর।মদ্যপ এবং বহুগামি জাকিরের নির্যাতন প্রথমে সহ্য করে নিলে এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। সহ্যের সীমা অতিক্রম হলে রুমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। অসমের বিধায়ক রুমি নাথের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী জ্যাকি জাকিরকে আটক করেছে পুলিশ। দক্ষিণ অসমের ডিআইজি বিনোদ কুমার জানিয়েছেন, “জ্যাকির বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন রুমি নাথ।” এর পরই জাকিরকে থানায় তুলে আনা হয়। তবে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অসমের কাছাড় জেলার বড়খলার কংগ্রেস বিধায়ক রুমি পরে সাংবাদিকদের জানান, ‘‘অনেক দিন থেকেই জ্যাকি নির্যাতন করে চলেছে। কথায়-কথায় মারধর করে। টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। প্রতি রাতে নেশা করে বাড়ি ফেরে।” কালও একই ভাবে মাতাল হয়ে ফেরে। প্রথমে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে মারধর। রুমির অভিযোগ, “এক সময় হাত-পা বেঁধে ও আমাকে মেরে ফেলতে চায়। কোনও রকমে রেহাই পেয়েছি।’’ http://www.anandabazar.com/national/ট-কর-খবর-1.26299 ***ধর্মান্তরিত হউয়া সব হিন্দু মেয়ের কপালে এমন ভাগ্যই লেখা থাকে ।বরং আরও খারাপ ও হতে পারে। অনেক মেয়েই আছে পরবর্তী তে যাদের স্থান হয়েছে পতিতা পল্লিতে।

মন্তব্য করুন